
প্রকাশিত: Fri, Dec 9, 2022 10:21 PM আপডেট: Sun, Jun 22, 2025 6:25 AM
মার্ক্সবাদী কনস্ট্রাক্টে মেটাফর ব্যবহার প্রসঙ্গে
মাসুদ রানা: মার্ক্সবাদীরা অনেক জটিল কনস্ট্রাক্টকে কবিতার মতো মেটাফর দিয়ে অতি সরল করে বুঝে ও বুঝিয়ে থাকে। কিন্তু এর ফলে, তারা কাব্যের জগতে বাস করে এবং আবৃত্তির মতো আত্মতৃপ্তিদয়াক কথা বলে। তারা বাস্তবতা বুঝতেও পারে না, বুঝাতেও পারে না। বাস্তবতাকে বস্তুনিষ্ঠভাবে না বুঝতে ও বুঝাতে পারার কারণে তারা তেমন কোনো কর্মও করতে পারে না। আর, সমাজ সম্পর্কে তাদের কাব্যিক বিবরণ ক্রমশঃ আবেদন হারিয়ে ফেলে।
মার্ক্সবাদীদের বহু-ব্যবহৃত কতিপয় মেটাফর নীচে দেওয়া হলো।
(১) শ্রেণী সংগ্রাম হলো ইতিহাসের চালিকাশক্তি। (২) রাষ্ট্র হলো এক শ্রেণীর বিরুদ্ধে আরেক শ্রেণীর শোষণের যন্ত্র। (৩) পার্টি হলো শ্রেণী স্বার্থের হাতিয়ার। উপরে তিনটি বাক্যের প্রতিটিতে একেকটি কনস্ট্রাক্টকে একেকটি মেটাফর দিয়ে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। কিন্তু এ-বাক্যগুলো পড়ে সাধারণ মানুষের-তো বটেই, এমনকি অনেক মার্ক্সবাদীও এর অর্থ বুঝবেন না। কার্ল মার্ক্স যে শুধু দার্শনিক ছিলেন, তা নয়; তিনি কবিও ছিলেন। সম্ভবতঃ এ-কারণে তাঁর লেখায় প্রচুর কাব্য রয়েছে, যা পড়তে দারুণ হলেও সাধারণ্যে সহজবোধ্য নয়। আমি মনে করি, সিরিয়াস বিষয়াদি বুঝার ও বুঝানোর ক্ষেত্রে কাব্যিক মেটাফর ব্যবহার করা ঠিক নয়। এতে মানুষের রসাস্বাদন হলেও বস্তুনিষ্ঠ বোধ গড়ে ওঠে না। যে-কোনো বিজ্ঞান মনস্ক ও গবেষণাগ্রাহী পাঠক ইচ্ছে করলেই উপরের তিনটি সংজ্ঞা নিয়ে বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছে যেয়ে জিজ্ঞেস করতে পারেনঃ “এই বাক্যটি দিয়ে আপনি কী বুঝলেন?”জিজ্ঞেসিত ব্যক্তি যে উত্তর দেবেন, সেগুলো রেকর্ড বা নৌট করে কোয়ালিট্যাটিভ ডেইটা হিসেবে বিশ্লেষণ করে দেখুন আমি যা বলেছি তা সঠিক কি-না। যারা মার্ক্সবাদী দলসমূহের সদস্য, তারা যখন এ-সমস্ত শব্দ ও বাক্য শুনেন, মুগ্ধ হন, কিন্তু অর্থ জিজ্ঞেস করেন না, পাছে তাদেরকে অজ্ঞ মনে করা হয়। তাই, নিজেদের বিজ্ঞতা প্রমাণের জন্যে নতুন শ্রুত বাক্যগুলো মুখস্থ করে ঘন-ঘন ব্যবহার করে জ্বালাময়ী বক্তা’ ও মেহনতী মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠেন। লণ্ডন, ইংল্যাণ্ড
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
